| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না : মির্জা ফখরুল


এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না : মির্জা ফখরুল


রহমত নিউজ ডেস্ক     15 September, 2023     09:05 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক দিবসে আমাদের শপথ হচ্ছে, যেকোনো মূল্যে এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।  আর বিলম্ব নয়, এখনই সবাইকে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে এই সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে। আসুন আমরা সবাই একযোগে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ি— এই হোক আজকে গণতন্ত্র দিবসে আমাদের শপথ। যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, যদি জনগণ ভোট দিতে যেতে পারে তাহলে তারা ১০টি আসনও পাবে না। সেজন্য তারা প্রশাসনকে নিজেদের মতো করে সাজাচ্ছে। 

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস ও সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, দলে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। 

মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’র প্রধান আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিনকে কারাদণ্ড প্রদানের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে যিনি কথা বলেছেন, তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সরকার এত ভীত যে, তাদের দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজকে সারা বিশ্ব এই সরকারের নিন্দা জানিয়েছে এবং অবিলম্বে তাদেরকে মুক্ত করতে বলেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তারা রেজুলেশন করেছে যে, অবিলম্বে এই মামলা বাতিল করে তাদের মুক্ত করা হোক, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হোক এবং মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হোক। গত ১৫ বছরে এ ফ্যাসিস্ট সরকার গোটা রাষ্ট্রকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। ডিসি-এসপিদের নিজেদের মতো সাজিয়েছে। তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, যত পারো মামলা দাও। আজকে মামলাকে উপেক্ষা করে মানুষ রাজপথে নেমেছে। খালেদ জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

সমাবেশের উল্টা পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশাশ্রমিকদের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই যে শ্রমিক ভাইয়েরা কাজ ফেলে দাঁড়িয়ে আছেন কেন। একটামাত্র কারণ, তাঁদের জীবন আর চলছে না। তাঁরা চাল কিনতে পারছেন না, ডাল কিনতে পারছেন না। তাঁরা ছেলেমেয়েদের কাপড় দিতে পারেন না, স্কুলে পাঠাতে পারেন না যে দ্রব্যমূল্য এত বেশি বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, আজকে বিদ্যুতের দাম, সারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, জ্বালানির দাম বেড়েছে, স্বাস্থ্য-শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে, ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে, সেদিকে তাদের কোনো খেয়াল নাই। একটিমাত্র খেয়াল, যে করেই হোক ক্ষমতায় টিতে থাকতে হবে। দেশকে শোষণ করতে হবে।